বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘোরে। তিনি বলেন, দেশের প্রেমিক সৈনিক ও সাধারণ মানুষের ঐক্যবদ্ধতা দিয়ে দেশের অন্যতম প্রিয় নেতা, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি অবস্থা থেকে মুক্তি দেয়া হয় এবং দেশের পরিচালনার দায়িত্ব.assign করা হয়।
তিনি উল্লেখ করেন, এটি ছিল বাংলাদেশের প্রগতির এক সৃষ্টি পয়েন্ট। জিয়াউর রহমান শেখ মুজিবুর রহমানের একদলীয় বাকশাল শাসন ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, বিচার বিভাগকে স্বাধীন করেন এবং জনগণের অধিকার নিশ্চিত করেন।
আজ, ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে, শুক্রবার (০৭ নভেম্বর), জাতীয় শেরেবাংলা নগরে বিএনপির নেতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ সব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান তার চতুর্থ বছরেই দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করেন। তিনি একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে পরিহার করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যান এবং সংবাদপত্রের মুক্তি নিশ্চিত করেন। পাশাপাশি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে বিচার বিভাগীয় কাঠামো শক্তিশালী করেন, জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করেন এবং মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু করেন। তাঁর এই ভিত্তির ওপর থাকতে গিয়ে পরবর্তীতে বাংলাদেশ উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে গেছে। তাই আজকের দিনটি শুধু বিএনপির জন্য নয়, বাংলাদেশে গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তীতে বাংলাদেশে নানা চক্রান্তের খবর উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেছেন, ৭ই নভেম্বরের বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদেরকে সেই পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দেয়, যেখানে সত্যিকারের গণতন্ত্র ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। জনগণের ভোটাধিকার, বিচারসংস্থানের অধিকার রক্ষা করে দেশের অগ্রগতি সম্ভব হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
Leave a Reply